“বাড়িয়ে দাও তোমার হাত”

“বাড়িয়ে দাও তোমার হাত”
– রাণা চ্যাটার্জী

 

 

তোমার, আমার আশ্রয় আছে,
ছেলেটার নাই বাড়ি।
ফুটপাথেই ওর দিন কাটে,
টান মারে ক্ষুধায় নাড়ি!

সেদিন রাতে বৃষ্টি ভীষণ,
ঝরছে অঝোর ধারায়।
ল্যাম্পপোস্টে নিভলো আলো,
নিস্তব্ধতা গোটা পাড়ায়!

আমি তখন ব্যালকনিতে,
রাত্রি প্রায় দুটো,
ছেলেটা দেখি, ছেঁড়া কাঁথায়,
ভিজছে, কুণ্ঠিত।

বেরিয়ে গেলাম চুপটি করে,
হাতে ছাতা, টর্চ লাইট,
সেলাম ছেলে, কুর্নিশ জানাই,
তোর বেঁচে থাকার ফাইট।

“আয় উঠে আয়, এমন ভেজে”!
বৃষ্টি পড়ছে জোরে,
কনকনে রাত মোচড় দিয়ে,
হৃৎপিণ্ড যেন, নিচ্ছে ছিঁড়ে।

দুর্যোগ রাত, কি আর করি,
হ্যাঁচকা টান মেরে!
আপাতত ঠাঁই দিলাম,
নিচের গ্যারেজ ঘরে।

সকাল হতেই দৌড়ে দেখি,
একি, গ্যারেজ ঘর যে বন্ধ!
হায়রে, ওটা স্বপ্ন ছিলো,
চোখ থাকতেও আমরা অন্ধ !

Loading

One thought on ““বাড়িয়ে দাও তোমার হাত”

Leave A Comment